রাশেদুল ইসলাম রাশেদ: গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আসন্ন ২ নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। মাঘের শীত উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ভোটারদের ভোট নিজেদের বাক্সে আনা। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসতেছে, ততই গরম হয়ে উঠতেছে রাজনীতির মাঠ। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত, পথে-ঘাটে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। হঠাৎ করেই আবির্ভাব ঘটলো সোনারায় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পদপ্রার্থী নতুন মুখ আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনের ।
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনকে ঘিরেই সর্বত্র চলছে আলোচনা। ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সেবার মানসিকতা নিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিয়নবাসীর সমর্থন এ যুবককে আরও উজ্জীবিত করবে বলে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।
এ নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখিতে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে সাগর খাঁন জানান,আমি নির্বাচনে নবীন। তবে ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- নবীনরাই ইতিহাস সৃস্টি করে। আমি স্বপ্ন দেখেছি!ইউনিয়নবাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো এবং দেখিয়ে দেবো আমরা নবীনরাও পারি। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণ আমার পরিবার। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়।
প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা কেন?
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনঃ সোনারায় ইউনিয়নবাসীর কাঙ্খিত দাবী ইতিপূর্বে নির্বাচিত কোন চেয়ারম্যান পুরোপুরিভাবে পূরন করতে পারেননি। এতে জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ ভাত-কাপড় চায় না। জনগণ সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিদের পাশে পেতে চান। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা আমার। আমি সাধারণ নাগরিক থেকে বুঝতে পারেছি জনগণ কি চান। তাই আমি তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চাই।
প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ জনসাধারণ এ নির্বাচনে কি রকম সাড়া দিচ্ছে ?
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনঃ তৃণমুল পর্যায়ের জনসাধারনের ক্ষুদ্র সেবক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত দূর থেকে হলেও পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। ইউনিয়নবাসী তথা জনগণ আমার পরিবার। তাদের সুখ-দুঃখ ঘিরে আমার রাজনীতির জীবন শুরু হবে। তাদের সাথে অনেক আগেই আমি মিডিয়ার আড়ালে নির্বাচন বিষয়ে কথাবার্তায় সমর্থন ও সাড়া নিয়ে এ নির্বাচনের মাঠে আসতেছি। আমি মনে করি এলাকার মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো আমার সাথে আছেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ দলীয় প্রতীক কি আশা করছেন? এবং নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসীর কি কি উন্নয়ন করবেন?
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনঃ সরকারি দল আমাকে যোগ্য মনে করলে প্রতীক দেবে। তবে আমি দলীয় ভাবে নয়, দল-মত নির্বিশেষে কৃষক, মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো। এলাকাবাসীকে সংগে নিয়ে একটি উন্নত যোগাযোগ ও বাসযোগ্য আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনার ভূমিকা কি হবে?
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনঃ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা করার পাশাপাশি, মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সর্ম্পকে প্রতিটি সভা-সমাবেশে আলোচনা করা হবে। আমি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানাই। ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আপনার/আমার ভাই-বোন হতে পারে। তাই তাদের সাথে খারাপ আচারণ বা ঘৃনা না করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। পুরো সোনারায় ইউনিয়ন হবে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত।
প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ ভোটারদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
আসাদুজ্জামান সাগর খাঁনঃ আমাদের অত্র ইউনিয়নের মানুষরা খুবই সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয় । এখানে মুসলিম, হিন্দু সম্প্রিতির বন্ধন রয়েছে যুগ যুগ ধরে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ আমাকে পাশে পাবে । আমি বিশ্বাস করি এলাকাবাসী কখনো আমাকে নিরাশ করবে না । জনগণের জন্য নির্বাচন। জনগণ তরুণ- উদীয়মান জননেতা, পরিশ্রমী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমি আশা করি জনগণ শতভাগ সৎ, নিষ্টাবান ও নির্ভীক, যোগ্য, সর্ম্পূন নির্ভরশীল বলিষ্ট নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবে। নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘোরে! নির্বাচন শেষ হলে তাদের রাজনীতিও শেষ! আমি আমার সাধারণ জনগণের সাড়া নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। এলাকাবাসীর দোয়া ও সহযোগীতায় নির্বাচনের মাঠে আছি এবং নির্বাচিত হলে জনগণের সেবক হয়েই পাশে থাকবো।