আলতা রাঙা পা! সে পা হাটুর উপর রেখে স্বপ্নের রাজকুমার নুপুর পড়িয়ে দেবে! নুপুরে শব্দ বাজবে! সারা ঘর হবে মুখর! এমন স্বপ্ন দেখেনা বাঙালি কনে খুব কমই আছে! আবার আমরা তো বড়ই হয়েছি সিন্ডারেলার সেই গল্প পড়ে, যেখানে রাজকুমার এসে সিন্ডারেলার জুতো পড়িয়ে দেয় পায়ে- আর খুঁজে পায় মনের অধিশ্বরীকে! মনে আছে সেই রাজকুমার কতগুলো মেয়ের কাছে গিয়েছিল জুতোটি নিয়ে!
কারও পা-ই কিন্তু জুতোটার উপযুক্ত ছিল না! সুন্দর জুতোর জন্য সুন্দর পা খুঁজতে অন্ধকারে লুকিয়ে রাখা সিন্ডারেলার কাছে ছুটে যায় রাজকুমার! আসলেই কিন্তু তাই! পায়ের অবস্থা বেহাল হলে কিন্তু দামী-নামী জুতোও দেখতে ভালো লাগবে না! আর বিয়ের সময় তো একদমই না! বর-কণে দুজনেরই পায়ের বিষয়ে হেতে হয় সচেতন! যে পা দিয়ে নতুন ঘরে প্রবেশ করবেন- তার অবস্থা তথৈবৈচ হলে হয়?
তাই কিন্তু আজকের বকবক পা নিয়ে! কি করে করবেন পায়ের যত্ন! আর তা ঘরের সহজলভ্য উপাদান দিয়েই!
পায়ের যত্ননারিকেল তেল:
বিয়ের সময় ঝামেলার শেষ নেই! হয়তো পার্লারে যাবারও সময় নেই! কোনও অসুবিধা নেই! রাতে ঘুমানোর সময় নারিকেল মেখে নেবেন পায়ের গোড়ালি- পায়ের পাতা সহ যতটুকু সম্ভব! এটি পায়ের রুক্ষতা দূর করে পাকে নরম কোমল করে তুলে। নারকেল তেলের লুরিক অ্যাসিড পায়ের ইনফেকশন দূর করে দেয়। ব্যাস! এবার ঘুমিয়ে পড়ুন!
অলিভ ওয়েল:
জলপাই-এর গুনের অভাব নেই! কালোজলপাইয়ের তেলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ও ফ্যাটি অ্যাসিড। আছে ভিটামিন ই! অতএব আচ্ছামত অলিভ অয়েল মেখে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন পায়ের ব্যাপারে! এমনকী হাতে –গলায় মুখেও মাখতে পারেন! জরপাই তেল বা অলিভ অয়েল মানেই তএকর বন্ধু!
শ্যাম্পু:
বাসায় আর যাই থুকুক বা না থাকুক শ্যাম্পু তো থাকবেই! এবার মন শান্ত করার জন্য পচন্দের বই হাতে নিয়ে হালকা একট গরম পানি সহ পাত্রে পা ডুবিয়ে বসে পড়ুন! গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে পা রাখুন দশ মিনিট! এটা হাতের জন্যেও প্রযোজ্য! হাত-পা পুছে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম মেখে নিতে ভুলে যাবেন না! শীতের কথা মাথা রেখে ত্বকের সাথে মানানসই ক্রিম নিন!
ভ্যাসেলিন:
পমেট বা ভ্যাসেলিনের তুলনা আসলে এরাই! শীতের শুরু থেকে উৎসব হোক বা না হোক গোড়ালীতে ভ্যাসেলিন বা পমেট মেখে ঘুমাতে গেলে সকালে পা নিশ্চিত হবে তেমন যা দেখে যে কেউ গাইবে—নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক পায়েল খানি বাজে!