পঞ্চানন রায়, বিশেষ প্রতিনিধি : দিন মুজুর বিধুবালা (৭০)। অনেক আগেই স্বামী মারা গেছে। নেই কোন ছেলে। একটি মেয়ে ছিল, বিয়ে দেওয়ার পর সংসার নিয়ে সেও ব্যস্ত। এই বৃদ্ধ বয়সে কখনো ক্ষেতে দিন মজুরির কাজ করেন। কখনো মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। বয়সের ভারে ভালো ভাবে কাজও করতে পারেন না। কোন রকমে চলে যায় তার দিন।
এই শীতে কম্বলের অভাবে খুব কষ্টে ছিল নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়েনের পূর্ব বোড়াগাড়ী লালারখামার এলাকার বিধুবালা। অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইলেও কেউ দেয় নাই। মঙ্গলবার দুপুরে প্রশিকা উন্নয়ন এলাকা (প্রশিকা) ডোমার কার্যালয়ের হলরুমে সাড়ে সাত শত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে।
সেখানে কম্বল পেয়ে বিধুবালা বলেন, মেলা জনের কাছোত মুই কম্বল চাইছু। কাহো দেয় নাই। ঠান্ডাত আইতোত ঘুমিবার পারো না। এই কম্বল গায়োত দিয়া আইজ মোর ভালো ঘুম হবে।
একই এলাকার সাবিত্রী রানী (৬৮) জানান, ছেলের অভাবের সংসারে তিনি থাকেন। কোন রকমে দুবেলা খাবার জুটে। শীতে খুব কষ্টে ছিলেন। প্রশিকার কম্বল পেয়ে খুব খুশি তিনি।
চিরতি রানী (৬৫) বলেন, এক সপ্তাহ ধরে খুব ঠান্ডা। সূর্যের দেখা নেই। আজকে এই কম্বলটা পেয়ে ভালো হলো।
হরিণচড়া ইউনিয়নের প্রমিলা বালা (৭০) বলেন, স্বামী বেঁচে নেই। ছেলে-মেয়েও নেই। ভাতিজা আমাকে খাওয়ায় ও দেখাশুনা করে। এই কম্বলটা পেয়ে উপকার হলো।
কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রশিকার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আলহাজ্ব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মাবুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।