ডেস্কে নিউজঃ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে (বিজিপি) বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সংঘর্ষ এখনো চলছে। গত দুই দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল নিয়ে তুমুল লড়াই চলে আসছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে টিকতে না পেরে বিজিপির ৯৫ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ দিকে আজ সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্তে গোলাগুলি, মর্টার শেল ও হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, উখিয়ার পালংখালীর ওপারে মিয়ানমারের বিজিপির ঢেঁকিবুনিয়া ক্যাম্প এলাকায় লড়াই শুরু হয়েছে।
বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তর।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসাধীন দুই সদস্য হলেন-রি লি থাইন (২২) ও জা নি মং (৩০)।
অপরদিকে নাম প্রকাশ না কার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে আহত অবস্থায় বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ছয় সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেন।
আহতরা রাখাইন রাজ্যের বুচিডং, টাংগো এবং ম্রাউ এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ২৪, দুজনের ২৩, একজনের ২০ এবং বাকি একজনের ২২ বছর বলে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান। তিনি জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।
রোববার সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরের ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণ শুরু হয়। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে আবার গোলগুলি শুরু হয়েছে। এ সময় হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সীমান্তের বাসিন্দারা রাতদিন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
গতকাল রোববার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে তুমুল লড়াই ছিল। তবে আজ সকালে ২-৩টি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।