স্টাফ রিপোর্টার:: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাস্টবিন থেকে এক মেয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ওই নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য সেটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে কয়েকজন দেখতে পান ডাস্টবিনের মধ্যে লাল কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক ফেলে রাখা হয়েছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতাল গেট সংলগ্ন ডাস্টবিনে একটি অপরিপক্ব নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ভূমিষ্ঠ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই গর্ভপাত করানো হয়েছে।
অন্যদিকে, শরীয়তপুরের জয়ন্তী নদীর ডামুড্যা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে ডামুড্যা পৌরসভার পুরোনো লঞ্চঘাট এলাকায় গোসল করতে নেমে পলিথিন ব্যাগের ভেতর মানব শিশুর মতো কিছু একটা দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবরটি জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বয়সসহ বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ডামুড্যা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন মন্টু বলেন, পুরোনো লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চে ওঠার সিঁড়ির কাছে এক নবজাতকের মরদেহ পাওয়া গেছে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলেই এ ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকবে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে নবজাতকের মহদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।