স্টাফ রিপোর্টার:: এবারের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ৪১ জন ও শিশু ৫৯টি। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৪১, শিশু ৫৯। আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন (গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী)। তবে বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারা দেশে আহত মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে।
এসময় ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২.৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৩৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৫.৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন, অর্থাৎ ১২.৮৫ শতাংশ।
এছাড়া ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২.৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫.৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩.৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭.২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯.৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১.৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩.৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮.১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬.৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১.২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।