নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবারও ১০ জোড়া অর্থাৎ ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বিভাগ। তবে রংপুরের মানুষ এ বিশেষ ট্রেনের সুবিধা পাচ্ছে না। এখানকার মানুষের ভরসা আন্তনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনই; যার টিকিট পাওয়া সোনার হরিণের চেয়ে দামি। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার।
২৪ মার্চ ঈদের অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করবে। একই দিন ট্রেন ও বাসের অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশন থেকে রংপুর, লালমনি, বুড়িমারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, একতা, দ্রুতযান, দোলনচাঁপা, করতোয়া ও বাংলাবন্ধা এক্সপ্রেস ঢাকায় চলাচল করে। প্রতিদিন এসব ট্রেনে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।
এসব ট্রেনের যাতায়াতে এমনিতেই টিকিট পাওয়া যায় না। এ অঞ্চলের মানুষ আশা করেছিল এবার ঈদে হয়তো রংপুরের ভাগে একটি বিশেষ ট্রেন পড়বে। কিন্তু তা হয়নি। বিগত দিনের মতো এবারও রংপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এতে ট্রেনের নিয়মিত অনেক যাত্রীই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জানা গেছে, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর, ভৈরববাজার থেকে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া পার্বতীপুর-দিনাজপুর রুটে এবং ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর রুটে গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া চলবে।
রংপুর থেকে ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতকারী আবুল হোসেন বলেন, ‘এমনিতে রংপুর অঞ্চলের মানুষ নানাভাবে বঞ্চিত। কয়েক বছর থেকে ঈদের সময় ট্রেনের যাতায়াত থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
ঈদে সড়কপথে চাপ থাকায় অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ হওয়ায় মানুষ ট্রেনে চলাচল করতে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এ অবস্থায় রংপুরকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে যা সত্যিই দুঃখজনক। ’ এ বিষয়ে রংপুর রেলস্টেশনের সুপার শংকর গাঙ্গুলি বলেন, ‘রংপুরে বিশেষ ট্রেনের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও রংপুর এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস রংপুরের ওপর দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া পার্বতীপুর ও কাউনিয়া হয়ে কয়েকটি ট্রেন ঢাকায় যাতায়াত করে। ’