নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিমায়েত হুসাইন ফারুকের ওপর ঈদগাহ ময়দানে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিছালী ইউনিয়নের মধুরগাতী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে ঈদগাহের উন্নয়ন বিষয়ক বক্তব্য দিচ্ছিলেন চেয়ারম্যান হিমায়েত। ঠিক সেই মুহূর্তে, একই এলাকার যুবক হুমায়ুন মোল্যা তার সহযোগীদের নিয়ে হঠাৎ তার ওপর হামলা চালায়। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় উপস্থিত মুসল্লিরা দ্রুত এগিয়ে এসে হামলা প্রতিহত করে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন এবং নিরাপদে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুক বলেন, “ঈদগাহে বক্তব্য দিচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করেই হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালায় হুমায়ুন। সে একা ছিল না, তার সঙ্গে আরও কয়েকজনও ছিল। হুমায়ুন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, চুরি-ছিনতাই ও লুটপাটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব কাজে তাকে মদদ দেন বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মশিয়ার রহমান ফকির। আমি তার অপকর্মে বাধা দেওয়ায় মশিয়ারের নির্দেশেই হুমায়ুন আমার ওপর এই হামলা চালিয়েছে। আমি এর সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। আরেক অভিযুক্ত মশিয়ার রহমান ফকিরকে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এলাকাবাসীর মতে, ঈদগাহের উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুকের ওপর হঠাৎ হামলা চালায় হুমায়ুন। সঙ্গে আরও কিছু অস্ত্রধারী অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখা যায়, যা ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হয়। হামলার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, ঈদের দিনে এমন পরিস্থিতি কেউই আশা করেনি। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হোক।
নড়াইল সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।