ডেস্ক রিপোর্ট:: ইন্ডিয়াতে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মু বিভিন্ন দেশের অতিথিদের কাছে আমন্ত্রন পত্র পাঠিয়েছেন। সেই আমন্ত্রন পত্রে দেশটির নামে পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। এ নিয়ে দেশটির মধ্যে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন নামেই দেশটি চালু করতে যাচ্ছে।
সাধারণত এই ধরনের আমন্ত্রণপত্রে এতদিন ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি’ (President of India) শব্দ ব্যবহার করা হলেও এবারই প্রথম জি-২০ জোটের সম্মেলনে যোগদানকারী বিদেশি নেতাদের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ (President of Bharat) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশটির সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তন করে ভারত (Bharat) করার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য ভারতের নামকরণের প্রথম পরিবর্তন। ‘ভারত’ (Bharat) শব্দটি সংবিধানেও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। দেশটির সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ভারত (India) মানেই ‘ভারত’ (Bharat); যা রাজ্যগুলোর একটি ইউনিয়ন হবে।
ভারতের জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব, হাজার বছরের সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরার জন্য ‘ভারত (Bharat), দ্য মাদার অব ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে একটি পুস্তিকা হস্তান্তর করছে দেশটি। এই পুস্তিকাতেও ‘ইন্ডিয়ার’ (India) জায়গায় ‘ভারত’ (Bharat) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়ার কথা ছিল। এটা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। এতে মনে দারুণ তৃপ্তি পাওয়া যায়। ‘ভারত’ (Bharat) আমাদের পরিচয়। এতে আমরা গর্বিত। রাষ্ট্রপতি ভারতকে (Bharat) অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার এটাই সবচেয়ে বড় এজাহার।
বিজেপি নেতারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে দেশটির বিরোধীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।