আনিসুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ কুড়িগ্রাম জেলায় বর্তমানে ৯ টি উপজেলা ও ৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে । স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে । কুড়িগ্রাম জেলার ৭৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১২ টি ইউনিয়নে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকল কার্যক্রম সুন্দর সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে । ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর আওতায় টেস্ট রিলিফ , কাজের বিনিময়ে খাদ্য , নন-ওয়েজ প্রকল্প , এলজিএসপি , ৪০ দিনের কর্মসূচি , এডিবি সহ বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে । গ্রাম আদালত কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় সাধারণ মানুষ ছোটখাটো সমস্যাগুলো চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করে নিচ্ছে । ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণে সেবা প্রদান করে এলাকায় জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যানরা হলেন যথাক্রমে ভোকডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব সাইদুর রহমান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া, বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খন্দকার এরশাদ, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গফুর, তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী , মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক, রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা, চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম, ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি। ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ,সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা হলে এ প্রতিবেদককে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম জানান , বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর। অর্থাৎ শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামীণ জনপদে থাকবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সরকারকে সহযোগিতা করছে। এ ব্যাপারে যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গফুর জানান , যাত্রাপুরে নদী ভাঙ্গন সমস্যা ব্যাপক। এই অঞ্চলের কোন কোন পরিবারকে ১৪ থেকে ২০ বার বাড়ি ভাঙতে হয়েছে। নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধানে নদী শাসনের কাজ চলছে। সরকারিভাবে ভিটেমাটি উচু করুন প্রকল্প নিলে এই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান , নদী ভাঙ্গন সমস্যা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে আমি সর্বাত্মক কাজ করেছি। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অনেকগুলি প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামী দিনে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে দেখতে চাই। সেই লক্ষ্যে সবার সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি।