দিপংকর রায় ( দিনাজপুর) বিরল।। উত্তরের জেলা দিনাজপুর বরাবরই সুগন্ধি ধান আর সুস্বাদু লিচুতে ঐতিহ্য ভরপুর।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে বীজ আলু উৎপাদনে নীরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে বিরল উপজেলা বেশ কিছু এলাকা।মানুষের খাদ্যাভ্যাসে আলু অদ্বিতীয় এক সবজি হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
এই উপজেলার বেশ কিছু অঞ্চলে গেলে দেখা যাচ্ছে সমস্ত মাঠ জুড়ে আলুর ফসলে মাঠ পরিপূর্ণ।তাকালে শুধুই আলু আর আলু এ যেন আলুর ভূস্বর্গ।
৯ নং মঙ্গল পুর ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর বিষ্ণু পুর,চাপইড়,বালাপুকুর,রুদ্রপুর,মাহাতাব পুর,রঘুনাথপুর সহ প্বার্শবর্তী বেশ কিছু এলাকায় তাকালেই শুধু আলু আর আলুর ফসলে মাঠ ভরপুর ।
খোজ নিয়ে জানা যায় যে, বেশ কয়েকটি কোম্পানির ( ব্রাক, এসিআই,সুপ্রিম) আওতায় সার্টিফাইড
আলুর বীজ উৎপাদন হচ্ছে এই অঞ্চলে।
আলুর জাত ডায়মন্ড, ষ্টারিজ,গেনোলা ইত্যাদি।
কয়েকজন আলু চাষির সাথে কথা বললে তারা বলেন,আগে এই জমি গুলোতে বছরে এক ফসল শুধু ধান আবাদ করতাম। এখন আমরা তিন ফসল আবাদ করতে পারি। যেমন ধান, আলু, ভুট্টা।
আমদের একটু বেগ পেতে হয় কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট। আলু বিক্রিতেও সমস্যা নেই। ফসল উঠলেই আমরা মাঠেই আলু বিক্রি করতে পারি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু কিনতে এখানে মানুষজন আসে।। দাম কম থাকলেও সমস্যা নেই , যাদের সমন্বয়ে আলু চাষ করে থাকি তারা নির্ধারিত মুল্যেই তাদের কাছেই বিক্রি করতে পারি। তারা জানান অনেক অনেক চাষী আছেন যারা নিজেই ব্যাক্তিগত ভাবে আলু চাষ করছেন। তারাও একই সময়েই ফসল তোলেন।
ব্রাকের এক কর্মকর্তা জনাব নাহিদ আহমেদ জানান, শুধু আমাদেরই ব্লক১০টি। প্রতি ব্লকে ৪০/৪৫ একর জমি। মোট জমি আনুমানিক প্রায় ৪০০ একর।
আমরা কৃষকদের সাথে সমন্বয় করে ভিত্তি বীজ সরবরাহের মাধ্যমে সার্টিফাইড বীজ উৎপাদন করে থাকি। কৃষকেরা শুধু মাঠ প্রস্তুতি করে পরে আমরা বীজ, কীটনাশক এবং তদারকি করে সহায়তা করে থাকি। আমরা কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে বীজ উৎপাদন করে থাকি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বীজ বপন, রোগিং ও হারভেষ্টিং করা হয়।
বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী একরে প্রায় ১২ থেকে সাড়ে১২টন উৎপাদিত হয়ে থাকে। ৭ টন আমরা কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে কিনে নেই। অবশিষ্ট ৫ থেকে ৫.৫০ টন কৃষকেরা অন্যত্র বিক্রি করে থাকে এবং নিজেরা সংরক্ষণ করে।
এই উৎপাদিত বীজ সারা দেশের ব্রাক নির্ধারিত
ডিলারদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।। তারা প্রত্যায়িত বীজ হিসেবে সারা দেশে বিক্রি করে থাকে।