আব্দুল মতিন সরকার।। স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে পটানোর কথা অসংখ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। স্ত্রীকে খুশি করার কিছু কৌশল, টিপস, পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকেন। তবে স্ত্রীকে সুখি রাখতে না পারলে সেসব দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে বিয়ের পর যৌনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারো মনযোগ আকর্ষণ করে ঘর বাঁধা যায়, কিন্তু বিছানার সম্পর্ক সঙ্গীর মন মতো না হলে সে সম্পর্ক মধুর হয়ে ওঠে না।
যৌনতার দিক থেকে যারা আকর্ষণীয়, অন্য অনেক দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও দিব্যি সংসারটা চলে যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে উদাসীন হলে সংসার চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন স্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনতার ফলে একে অন্যের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ অনুভব করেন। ফলে সম্পর্ক অনেক গাঢ় হয়ে যায়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গী একাকীত্বে ভুগতে পারেন, এমনকি তাকে ছেড়েও চলে যেতে পারেন।
কোনো নারী তার স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেললে তার প্রতি ভালোবাসা যেমন উঠে যায়, এমনকি ওই নারী তার স্বামীকে বিশ্বাসও করেন না অনেক সময়।
বিশেষজ্ঞরা সে কারণে বারবার গুরুত্ব দেন সম্পর্কটা আরো গাঢ় করার ব্যাপারে। তারা পরামর্শ দেন, স্ত্রীকে নিজের সামর্থ্যটা দেখানো। কারণ, একজন মানুষ নিরাপত্তা চায়, শারীরিক শক্তিসম্পন্ন মানুষ চায় এবং সাহায্যও চায়। সে কারণে পুরুষের এসব থাকলে নারী সেটা পছন্দ করে।
এরপর বেশি বেশি সময় দেওয়া। স্ত্রীকে বেশি বেশি সময় দিলেও সম্পর্ক ভালো থাকে। এটা অনেকটা গাছের যত্ন নেওয়ার মতো।
তার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বলভাবে কথা বলতে হবে। কথা বলার সময় যেন আপনাকে আত্মবিশ্বাসী দেখায়। কারণ, ভীরু টাইপের কাউকে সেভাবে পছন্দ করে না নারীরা। তারা চাই, সঙ্গীর প্রতি যেন আস্থা রাখা যায়।
সবসময় সৎ থাকা দরকার। কারণ, একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে নারীরা আর তাকে পছন্দ করে না। স্ত্রীর বিশ্বাসের অমর্যাদা করলে তাকে সুখি রাখা যাবে না। সংসার সুখের রাখতে চাইলে বিষয়টি মাথায় রেখে চলা দরকার।
পরিকল্পনার সময় স্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ চান। এমনকি রাতে কী করবেন সে ব্যাপারে তার কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন। নিজেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করে তার সঙ্গে আলাপ করেই কাজটি করতে পারেন। এতে করে স্ত্রী সন্তুষ্ট থাকবে। সংসার সুখের হবে।