প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ আজ ৮ মার্চ। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টেকসই আগামীর জন্য; জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’। নারী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিভিশন, রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। আয়োজিত হচ্ছে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা সভা। কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী সম্মেলনে ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবের আলোকে ১৯১১ সাল থেকে নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেবে। প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে পাক্ষিক ‘অনন্যা’।
এ ছাড়া ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল ৩টায় সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করবে। দু‘দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে নেক্সাস টেলিভিশন।
এই দিবসে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘সম্পত্তিতে নারীর সমান উত্তরাধিকার, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিনিধিত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিশ্চয়তা দিতে হবে। লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করা জরুরি।’
আর জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ বলেন, ‘সহিংসতার ভয় নারীর জীবনকে সীমাবদ্ধ করে। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি জায়গা ও স্তর হবে সবার জন্য নিরাপদ।’