মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদারের গুলিতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বদিউজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধা নাদেরুজ্জামান এর কবর সোনাগাজীর বাদামতলী গ্রামে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। সম্প্রতি স্থানীয় এক ভূমিদস্যু উক্ত কবরস্থান উচ্ছেদ করে কবরের জমি দখলের পায়তারা করছেন।
এই ঘটনায় গত ২৯অক্টোবর ফেনীর আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দেন শহীদ বদিউজ্জামান’র পুত্রবধূ বিবি মরিয়ম। আদালত মামলা আমলে নিয়ে নালিশী ভূমির মালিকানা নির্ধারণ করা পর্যন্ত নির্মান কার্যক্রম বন্ধ রাখা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (১৪নভেম্বর) ভোরে ২০/২২জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল নিয়ে উক্ত কবর উচ্ছেদের চেষ্টা করে ভূমিদস্যু জসিম উদ্দিন গং। সে সোনাপুর গ্রামের মৃত আবদুল শুক্কুরের ছেলে ও উপজেলার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ সময় বাধা দিলে বাদীনি মরিয়ম বেগম ও তার ঝা বিবি জুলেখাকে লাঞ্চিত করে ও প্রাননাশের হুমকি দেয় ভূমিদস্যু জসিম উদ্দিন এবং তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মরিয়ম বেগম।
বাদী জানায়, গত ৬০ বছর ধরে এই কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয়দের কবর দেয়া হয়। সম্প্রতি ভূমিদস্যু জসিম উদ্দিন রাতের আঁধারে উক্ত কবর উচ্ছেদ করে দখলের পায়তারা করছেন। আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, সেই নিষেধাজ্ঞাও মানছেনা ভূমিদস্যু জসিম।
দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি উক্ত জমিতে ক্রয়সুত্রে সাড়ে ১০ ডিসিমের মালিক। বিএস জরিপে মালিক শহীদুল্লাহ গংয়ের কাছ থেকেই আমি ২০০৯ সালে ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, দিয়ারা ও বিএস এ কবরের কোন অস্তিত্ব নেই।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, আদালতের বিষয়টি উভয় পক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শনিবারে কাজ চলাকালে বাধা দেয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন মরিয়ম বেগম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।