মোঃ মন্জু হোসেন,ব্যুরো প্রধান (পঞ্চগড়)।। পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এডভোকেট কর্তৃক ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর মামলায় আপোষের চাপ দেওয়ার কারনে কীটনাশক (বিষ) পানে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে।
গতকাল রবিবার (১৩ডিসেম্বর) ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী আনুমানিক রাত ৯ টায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা যায়। পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের গত ১১ সেপ্টেম্বর মোলানি পাড়া গ্রামের দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় এবং সে বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১২ সেপ্টেম্বরে আটোয়ারী উপজেলা পরিষদের সামনে পঞ্চগড় সড়কে আটোয়ারী বাসীর উদ্দ্যোগে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের প্রধান উদ্দোক্তা ছিলেন আটোয়ারী উপজেলা পূর্জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কথিত সাংবাদিক মনোজ রায় হিরু ও আলোয়া খোয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রতন বিলাস বর্মন কিন্তু মানববন্ধনে যারা ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দিয়েছিল, তাদের মধ্যেই পূর্জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কথিত সাংবাদিক মনোজ রায় হিরু ও আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন এর মোলানি গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রতন বিলাস বর্মন তারাই ধর্ষণ মামলার বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী আপোষ মীমাংসা বিষয়টি জানতে পারলে ওই ধর্ষনের শিকার ছাত্রী কীটনাশক (বিষ) পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে ওই ছাত্রী আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর মা ও বাবা বলেন আটোয়ারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কথিত সাংবাদিক মনোজ রায় হিরু ও আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৌলানি গ্রামের ইউপি সদস্য রতন বিলাস বর্মন ধর্ষণ মামলার বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করে এবং বাসায় এসে আমাকে জানায়। আমার মেয়ে বিষয়টি জানতে পেরে আপোষ মিমাংসার জন্য অসম্মতি প্রকাশ করে, তারপরেও তারা আমার মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করে। এমতাবস্থায় আমার মেয়ে নিরুপায় হয়ে কীটনাশক (বিষ) পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা জানায় আমার মেয়েকে যারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আটোয়ারী উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, কীটনাশক পান করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে। ৭২ ঘন্টা পরেই জানা যাবে শারীরিক অবস্থা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঞ্চগড় (সদর সার্কেল) সুদর্শন রায় জানান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।