খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট। মুসলিম বিশ্ব,দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে লালমনিরহাটে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় মোনাজাত শুরু হয় লালমনিরহাট শহরের কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমা।
এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা কাকরাইল জামে মসজিদের সুরা সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মোহম্মদ উল্লাহ্।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) লালমনিরহাট শহরের কালেক্ট্ররেট মাঠে ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়। ইজতেমায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জুমার নামাজে জেলা ও রংপুর,কুড়িগ্রাম,নীলফামারী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
জেলা ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সুরা সদস্য আব্দুল খালেক মাস্টার জানান, ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ও দেশবরেণ্য পাঁচ আলেম। তিনদিনের ইজতেমায় জেলার ৫টি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ সমবেত হন। এছাড়া রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও অংশ নিয়েছেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে মানুষের ঢল নামে ইজতেমা মাঠে। কানায় কানায় ভরে যায় পুরো মাঠ।
এছাড়া ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য যমুনা ক্লিনিক ও লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনের সহযোগিতায় অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
এছাড়াও ইজতেমা প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হচ্ছে একশ’র ওপরে শৌচাগার, গোসলখানা ও অজুখানা।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সে জন্য ইজতেমার মাঠ জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে সাজানো হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।