সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত ইনচার্জ (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারে সহায়তাকারীদের জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
সৌদির সিলেট বিভাগ প্রবাসী পরিষদের সাবেক সভাপতি, বালাগঞ্জের দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের আজীবন দাতা সদস্য, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, শিক্ষানুরাগী আব্দুল আজিজ মাসুক এ পুরস্কার ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার আব্দুল আজিজ মাসুক জানান, সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের মাধ্যমে শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়েছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ব্যাপারে যে বা যারা সাহসী ভূমিকা পালন করেন তারা আমাদের গৌরব। তিনি এসআই (বরখাস্ত) আকবরকে গ্রেফতার করতে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য স্থানীয় নাগরিক ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্টদের এ পুরস্কার দেয়া হবে। রায়হান আহমদ হত্যায় জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।
গত ৯ নভেম্বর সকালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবরকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। সন্ধ্যা ৫টা ৫৩ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কানাইঘাট থেকে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার। এদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যা.তন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃ.ত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃ.ত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।