আসাদুল ইসলাম সবুজ:: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন মাদকের ব্যাপকতা বাড়ছেই। সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটি ভারতের সীমান্তঘেষা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন স্পটে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা।
এদিকে কালীগঞ্জ থানায় প্রায় দেড় মাস থেকে অফিসার ইনচার্জ না থাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় চিহ্নিত মাদককারবারীরা। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কালীগঞ্জের সীমান্ত গ্রামগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই ডজন মাদকের স্পট। প্রতিদিন কাকিনা মহিপুর শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু দিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটর সাইকেল যাওয়া আসা করে ওই স্পটগুলোতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের অভিযান তেমন পরিচালিত না হওয়ায় দিন দিন মাদকের প্রভাব বেড়েই চলছে। আবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মাদকের ব্যপকতার বিষয়ে পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয় না। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ মে বদলি হয়ে চলে যান কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুল। সেসময় ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব নেন ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ।
অফিসার ইনচার্জ বদলির পরে মাদকের ব্যপকতা কমার আশা করেছিল এলাকাবাসী। কিন্তু সেই আশায় গুড়োবালি দিয়ে আরও সক্রিয় হয়েছে মাদক সিন্ডিকেট । উপজেলার স্বর্বত্র যেন মাদক আর মাদক। তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত কালীগঞ্জ থানায় একজন সচ্চ ও সাহসী অফিসারইনচার্জ পদায়ন করলে মাদকের কলংক ঘুচতে পারে অনেকখানিই।
এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত করা হয় কি না জানতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান হাবিবের সরকারি ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। কথা বলতে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।