লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে এ বিষয়ে গত রোববার (২৭ জুন)চুনারুঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবের স্থানীয় ১০ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার ৯ নম্বর রানীগাঁও ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলীর পুত্র মো. লিটন মিয়া এবং নাছিরাবাদ চা-বাগানের বাসিন্দা মৃত মাইচং হাজংয়ের পুত্র পলাশ হাজং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা উপবৃত্তি পাওয়ার সুযোগ করে দেবেন বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে জনপ্রতি ৫০০ হতে ১০০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় কোনো এক মন্ত্রীকে পরিদর্শনে আনার কথা বলে ঘরে ঘরে গিয়ে ২০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেন তারা বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আইনের ভয় দেখাতে শুরু করেন। এ কারণে গত রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীরা একাট্টা হয়ে স্থানীয় ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন অভিযোগকারীদের মধ্যে যোসেফ দেববর্মা ঈশ্বর চন্দ্র দেববর্মা সিতুষ দেববর্মা সরেন দেববর্মা রাধামোহন দেববর্মা রিপাউ সাওতাল সঞ্জু দেববর্মা রবীন্দ্র দেববর্মা দিলিপ ও বিলিসি বলেন আমরা নিতান্তই অশিক্ষিত লোক বটে।
সারাদিন পাহাড়ে কাজ করি পরিবারের খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয় তবু ছেলে-মেয়েদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় নানা ঝক্কি-ঝামেলা সহ্য করে তাদেরকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য স্কুলে ভর্তি করেছি। কিন্তু আমাদের অশিক্ষার সুযোগে এলাকার লিটন মিয়া ও পলাশ হাজং মিলে আমাদের সন্তানদের নামে সরকারি সহযোগিতার অর্থ হিসেবে নিয়মিত মাসিক উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে সরকারি অফিসে ঘুষ দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে এখন তা অস্বীকার করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিটন মিয়া বলেন আমি মূলত উপজাতি ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা আমার সম্প্রদায়ের বঞ্চিতদের পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর আগেও কিছু কুচক্রী আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এমনটা করেছে। এর আগেও এমন ঘটনার ফলে আমি প্রায় ২০০ জনকে নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির লস্কর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে ভুল তথ্যের অবসান করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এলাকায় যে কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও অপরাধের সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।