কক্সবাজার প্রতিনিধি
সড়কের বেহাল অবস্থা। তা দিয়ে মরদেহের খাটিয়া নিয়ে চারজন হাটার অবস্থা নেই। এমনকি স্বাভাবিক যানচলাচলেও দুর্ভোগের শেষ নেই। একরকম বাধ্য হয়েই চিংড়ি ঘেরের পানিতে বাঁশের ভেলায় চড়িয়ে বৃদ্ধার মরদেহ নেয়া হয়েছে কবরস্থানে।
বুধবার (২১জুলাই) ঈদের দিনে এমন একটি দৃশ্যের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা যায়, এই ছবিটি কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ারচর গ্রামের। গত ২০ জুলাই রাতে এই গ্রামের গোলাম শরীফের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।
পারিবারিক সিদ্ধান্ত মতে, ঈদুল আযহার নামাজের পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করতে পাশের নতুন ঘোনা গ্রামের আজিজিয়া জামে মসজিদ মরদেহ নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে বাধ্য হয়েই একটি চিংড়ি ঘেরের পানিতে ভেলায় ভাসিয়ে বৃদ্ধার মরদেহটি কবরস্থানের পাশের মসজিদের জানাজার মাঠে নেয়া হয়।
তারা আরও জানান, সড়ক ভাঙা থাকায় শুধু মরদেহই নয়, যাতায়াতেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পেকুয়ারচর গ্রামের ফোরকানের দোকান থেকে আজিজিয়া জামে মসজিদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক বিগত ২০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।
উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি ছোট হওয়ায় খাটিয়া বহন করে চার ব্যক্তি একসঙ্গে হাঁটা সম্ভব না। ফলে এ অমানবিক দৃশ্য সবাইকে দেখতে হলো।
এজন্য তিনি ওই রাস্তার পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের দায়ী করে বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য তারা মাটি নিতে দেন না।
তিনি আরও বলেন, যুগের পর যুগ রাস্তাটি যেভাবে ছিল, সেভাবেই আছে। চিংড়ি ঘেরের পানিতে ভেলায় ভাসিয়ে মরদেহ পার করার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এখন সমালোচনা হচ্ছে।