ঢাকারবিবার , ১ আগস্ট ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে স্ত্রীর বালিশ চাপায় স্বামীর মৃত্যু, লাশ দাফনের ১১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১, ২০২১ ৫:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু), লালমনিরহাট

অবশেষে জলিল হত্যার জট খুলেছে। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী ও প্রেমিকা মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম।

আর মামলার তদন্ত স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

রোববার (১লা আগস্ট) সকালে দাফনের ১১ দিন পর শহরের সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৭ জুলাই রাতে আসামিদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন।

গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের মৃত্য হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশিদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। ২৪ জুলাই বিকেলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থালে যান এবং আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। রাতে সেখানে মমিনা ও পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী, জলিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দু’জনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানান। পরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) মারুফা জামান মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে এসে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। এ হত্যা কান্ডে দুইজন জড়িত থাকায় মমিনা আর রব্বানীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

মরদেহ উত্তোলন শেষে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতেই স্ত্রী মমিনা ও পরকিয়া প্রেমিক রব্বানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। লাশ উত্তোলন বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তদন্তেরই একটি আইনী প্রক্রিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুন