নিজস্ব প্রতিবেদক
কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে দেশে কোথাও শিল্পকারখানা খুললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফরহাদ হোসেন।
এর আগে লকডাউনে শিল্পকারখানা, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প খোলা রাখা হলেও এবার সংক্রমণের গ্রাফ যখন উর্ধ্বমুখী,তখন সব কলকারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে দেশে অনেক কলকারখানা খোলা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ার দিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, কেউ কারখানা খুলে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি।
সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে এখন কঠোর বিধিনিধেষের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কোরবানির পশুর চামড়াসংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রয়েছে।
ঈদুল আজহার পর এফবিসিসিআই ও বিজেএমইএ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানালেও ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই তা খোলা যাবে না।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশে সংক্রমণের হালহকিতত নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।
লকডাউনের মধ্যেও সড়কে মানুষের ভিড় বাড়ছে। প্রতিদিনই বিপুল অঙ্কের টাকা জরিমানা করছে পুলিশ ও র্যায়ব।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক কারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় লাখ লাখ কর্মীরা আর বের হচ্ছেন না। এরা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অনেককে বাইরে আসতে হচ্ছে। হাসপাতাল, জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত মানুষ বের হচ্ছেন। হাসপাতালে যারা আছেন তাদের অ্যাটেনডেন্টরা আছেন, তাদের বের হতে হচ্ছে। রাস্তায় বের হয়ে মানুষ বলছে, চাকরিতে যেতে হচ্ছে। তারা যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছে, আমরা সেগুলো যাচাই করছি।’
মহামারী ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন জানান, খাবারের অভাব হলে বাইরে বের হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ৩৩৩ হটলাইন চালু আছে, ওটা কোনো কারণে ফেল করলে স্থানীয়ভাবে দেওয়া নম্বরে যে কেউ ফোন করলেও খাবার চলে যাবে, সেই নির্দেশ দেওয়া আছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইনে বলা আছে পাঁচ বছর পর পর সবাই সম্পদের হিসাব দেবে। যাতে করে আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ আছে কি না, সেটা আমরা চেক করতে পারি। সরকারি চাকরিজীবীরা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন। আমাদেরকেও তাদের সম্পেদের হিসাব সাবমিট করতে হবে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলে আমরা দিতে পারব।