আনিসুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার | কুড়িগ্রামের রাজারহাটে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম (৫৩) এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় হাওয়া বেগম (৩৬) বাদী হয়ে স্বামী নজরুল ইসলাম, সহ ৩ জনের নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে রাজারহাট থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু মামলা রেকর্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
জানা গেছে,রাজারহাট ইউনিয়নের দেবীচরণ (চরইখোলা) গ্রামের জহুরুল ইসলামের পুত্র নজরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছর পূর্বে হাওয়া বেগমের পারিবারিক ভাবে রেজিষ্ট্রি মুলে বিবাহ হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার বাবা নজরুল ইসলামের সকল প্রকার দাবী দাওয়া পুরন করে। দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার জীবনে হাওয়া বেগম হাওয়া বেগম ৩ সন্তানের জন্মদান করে। কিন্তু বিয়ের পর দীর্ঘদিন থেকে হাওয়া বেগমকে বাবার বাড়ি হইতে পুনরায় যৌতুকের ২ লক্ষ টাকার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী শশুর সহ পরিবারের সদস্যরা। হাওয়া বেগম টাকা আনিতে অস্বীকার করিলে নজরুল,মিলন (৪০) জহুরুল (৭৫) সহ গৃহবধূ হাওয়া বেগমমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। এমন্তবস্হায় গত ১৫ জুন হাওয়া বেগম বাবার বাড়িতে থাকা অবস্হায় স্বামীর পরিবারের লোকজন পুনরায় ২লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসতে বলে। কিন্তু হাওয়া শুন্য হাতে স্বামীর বাড়িতে এলে স্বামীসহ তার শশুর দেবর লাঠি সোটা রড় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত রক্তাক্ত জখম করে। এবং যৌতুকের টাকা না আনলে তাকে নিয়ে আর সংসার করবেনা বলে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি অসুস্হ হয়ে পড়লে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্হ্য কমপ্লেসক্সে ভর্তি করে।
পরে হাওয়া বেগম নিরুপায় হয়ে নজরুল সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১ জুলাই থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১।
এ বিষয়ে ওসি রাজু সরকার বলেন- থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।