ক্রীড়া প্রতিবেদক।। তামিম ইকবালের বিদায়ে রানের চাকা কিছুটা থেমে গেলেও মুশফিক ও মিঠুন মিলে সচল করেন সেই চাকা। যাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সমৃদ্ধ হয় স্কোরবোর্ড। কিন্তু মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলেন স্যান্টনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৯ রান।
মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন ৩৪ রান করে। তার বিদায়ের ফলে ভেঙেছে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। মিঠুন অপরাজিত আছেন ৪৬ রানে, সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ (৩)।
অবশ্য শুরুটা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। ম্যাট হেনরির দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস।
ক্রাইস্টচার্চে শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুর ওভারে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তামিম। তবে দ্বিতীয় ওভারে বাড়তি বাউন্সের কারণে বিপদে পড়েন লিটন। পুল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্কোয়ার লেগে তার শট তালুবন্দি করেন ইয়ং। লিটন বিদায় নেন শূন্য রানে।
তামিম অপর প্রান্তে সতর্ক শুরুর পর মেরে খেলার চেষ্টায় থাকেন। বিশেষ করে অষ্টম ওভারে কিছু চার মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সৌম্যও ধীরস্থির থেকে ব্যাট করেন। ফলে এই জুটি শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকে। তামিম অবশ্য ১৫তম ওভারেই দ্বিতীয় জীবন পান। তার ফিরতি ক্যাচ নিয়েছিলেন পেসার কাইল জেমিসন। টিভি রিপ্লের পর অবশ্য দেখা গেছে ক্যাচ নিলেও এক পর্যায়ে বল স্পর্শ করে মাটিতে। টিভি আম্পায়ার অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে নট আউট দেন এর পর।
এর পরেও তামিম-সৌম্য জুটি এগিয়ে চলছিলেন অবিচলভাবে। কিন্তু খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে যাওয়ার মাশুল দেন সৌম্য। মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিবলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই স্টাম্পড হন তিনি। যাওয়ার আগে ৪৬ বলে করেন ৩২ রান! তাতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়।
তবে তামিম ৫০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতেই খেলে যাচ্ছিলেন। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৩০.২ ওভারে নিশামের বলে মুশফিকুর রহিম অযথা সিঙ্গেল নিতে গেলে কপাল পোড়ে তামিমের। মূলত নিশামের অসাধারণ ফুট ওয়ার্কেই রান আউট হন তামিম! তামিম প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই দৌড় দিয়ে বল পা দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন নিশাম। ফলাফল ১০৮ বলে ৭৮ রানে ফেরেন ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিমের ইনিংসে ছিল ১১টি চার।