ভারতে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কয়েকদিন আগেই ভারতের উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনার পর ফের প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে সিদ্ধি জেলার আমালিয়া এলাকায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, পানি দিতে রাজি না হওয়ায় এক বিধবা নারী গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছে তিন দুষ্কৃতী। পাশবিক এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
স্থানীয় সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি জেলার আমালিয়া এলাকার বাসিন্দা নির্যাতনের শিকার ওই মহিলার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্য তাই এলাকায় চায়ের দোকান চালাতেন তিনি। আর থাকতেন দোকানের পাশের ঝুপড়িতে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ওই মহিলা যখন দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন আচমকা তিন ব্যক্তি উপস্থিত হয়। তাকে ডেকে তুলে খাবার পানি চায়। কিন্তু, তিনি পানি দিতে রাজি না হওয়ায় ঝুপড়ির ভিতরে ঢুকে একটি লোহার রড তার গোপনাঙ্গ ঢুকিয়ে দেয় তিন দুষ্কৃতী।
এর জেরে অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন নির্যাতিত মহিলা। সেই শব্দ শুনে আশপাশের লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ওই মহিলাকে রেওয়া জেলার সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা অপারেশন করে মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে লোহার রডটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে এই নৃশংস ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। পুলিশও দ্রুত তদন্ত করে সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।