কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি।। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় খিজির হায়াত খান বসুরহাট রূপালী চত্বরে এলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন। এসময় তার সঙ্গে থাকা সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ৩দিন আগে আমাদের পার্টি অফিসের মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যান এবং অফিসে তালা মেরে দেন। পরে আমরা পাশের একটি ঘর ভাড়া নেই দলীয় অফিসের জন্য। আমি নতুন অফিস সংস্কারের জন্য মিস্ত্রি নিয়ে গেলে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক লোক আমার কাজে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন- এসময় কাদের মির্জা বলেন ‘এখানে কিসের অফিস?’ পরে তিনি আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মারাত্মক আহত করেন। আমি এখন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছি।
এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে বার বার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল হক রনিকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ওসি (তদন্ত) রবিউল হকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।