ওয়াদা
নাসরিন পারভীন
এতোটা নীরবতার নিস্তরণ চারিপাশে
রাত যত গভীর হতে থাকে ; বাক্যমালায়
অক্ষরের গাঁথুনি উৎ পেতে বসে থাকে
কবিতায় আত্মপ্রকাশ করবে বলে।
কবিতা বলতে তো সেই বিদ্রোহ-বিদ্রূপ
শৃঙ্খলিত জনতা পলো না স্বাধীনতা
কখনোই মানুষ চায়নি উদ্বাস্তুর জীবন
স্লোগানগুলো প্রায়শই নেমে আসে
আন্দোলনের হাত ধরে সভা, মিছিলে।
দারিদ্র্যতার নিনাদিত হাহাকারে
ভেসে গেছে শহরের পর শহর
গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে গেছে ত্রাসে
কৃষাণ তো পায়নি ফসলের ন্যায্যমূল্য।
মহামারিতে ভুগছে দেশ থেকে বিশ্ব
মিডিয়ার বানে ভেসে যায় সংবাদ
মহাবৈঠকে বুদ্ধিজীবির আলোচনা সভা
তবুও বাতাসে ক্রমশই কমে আসে অক্সিজেন
মেলেনি কোন সুরাহা, বাঁচেনি তবুও প্রাণ ।
ন্যায়েরা অজানা রহস্যের সত্য উদঘাটনে
অন্যায়ের প্রতিবাদে প্রতিকার চেয়েছে
বিবেকের দ্বারে দ্বারে জনমভর।
অথচ স্বার্থের শিরা উপশিরায়,
বাসা বেঁধেছে ভোগী-মহাভোগীর নেশা
সমাজে রাঘববোয়াল বনে যাবার স্বপ্নবিলাসে
স্বপ্নবিভোর মন ভুলে গেছে মৃত্যু, পরকাল
ভয়ঙ্করী আখেরি বিচারসভা
ভুলে গেছে জাহান্নামের আগুন।
শুধু কথারা ভুলেনি সময়কে দেয়া ওয়াদা
এভাবে সাহিত্য জুড়ে লিখে গেছে ইতিহাস।