স্পোর্টস ডেস্ক
করোনা মহামারির মাঝেই চলছে সকল ক্রীড়াযজ্ঞ। কোপা আমেরিকা, ইউরো কাপ, অলিম্পিক থেকে শুরু করে ক্রিকেটের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো। আসর বাঁ সিরিজ চলাকালীন করোনা কেউ করোনা শনাক্ত হলে তাকে আইসোলেশনে রেখেই হচ্ছে ম্যাচ।
কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখানে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ সফরে আসার ক্ষেত্রেই বোধহয় এমনটা। সবশেষ উইন্ডিজ সফরেও এমনটা করেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) কত শর্ত যে দিয়েছে তারা!
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় পা রাখার কথা অস্ট্রেলিয়া দলের। চার্টার্ড ফ্লাইটে করে এসে ইমিগ্রেশনেও দাঁড়াবে না দলের কেউ। নির্দিষ্ট একজন সব ঝামেলা চুকিয়ে ফিরবেন হোটেলে।
এর আগে ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালকে আইসোলেশন করার নির্দেশ দেয়। বিসিবি সেটিও মেনে নিয়ে পুরো হোটেল ভাড়া নিয়েছে। এখানেই সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ১০দিন আগে থেকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।
বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ২৯ জুলাই দেশে ফিরে সোজা হোটেলে উঠবে। তিন দিন কঠোর কোয়ারেন্টিনে দফায় দফায় করানো হবে করোনা পরীক্ষা। এখানে পাস করলে তবেই সুযোগ মিলবে অনুশীলনের।
দশ দিনের সফরে ৭বার হবে কোভিড টেস্ট। এছাড়া চিকিৎসক দল যদি মনে করেন কাউকে আলাদা করে পরীক্ষা করানো লাগবে, সেক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট আরও বাড়বে।
বিসিবির চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী জানান, ম্যাচ চলাকালীন মাঠ কর্মীরাও প্রবেশ করতে পারবে না মাঠে। খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমে ফিরলে তবেই অনুমতি পাবে পাঠে প্রবেশের।
শুধু মাঠ কর্মীরাই নন, আকসুর কর্মীরাও থাকতে পারবেন না ড্রেসিং রুমের আশেপাশে। মাঠে থাকবে না কোনও ক্যামেরা ক্রু। গ্যালারী থেকে করতে হবে ব্রডকাস্টিংয়ের কাজ। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিকরা তো করোনা মহামারির শুরু থেকেই প্রবেশ করতে পারেন না মাঠে।