রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সোনালী ব্যাংক শাখার বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও বিভিন্ন অজুহাতে বাড়তি অর্থনৈতিক লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে।
এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুন্দরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার নিয়মিত গ্রাহক ও ভুক্তভোগীরা৷
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় ভুক্তভোগীরা ব্যক্তিগত লোন এর জন্য আবেদন করতে এলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফরম বাবদ ২০০ টাকা এবং সিইআইবি চার্জ বাবদ ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা হাতিয়ে নেয়৷ পরবর্তীতে সেই আবেদন ফরম জমা দিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবারও ২০০ টাকা দাবি করে বসে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্যাংকের ভিতর থেকে টাকা ছিনতাই হলো?
অন্য দিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখে সিইআইবি চার্জ বাবদ তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়ে রিপোর্ট না এলে ভুক্তভোগীরা আবারও জানতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং লোন অফিসার দায় সাড়া জবাবে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের একেক জনকে একেক কথা বলেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা উপঢৌকন দিতে পারছি না জন্য আমাদেরকে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। লোন দেয়ার জন্য ৫/৭ মাসের সময় বেঁধে চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ফলে নিরুপায় হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সুন্দরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার নিয়মিত গ্রাহক আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ, নিমাই কুমার রায়,গোলজার হোসেন, তারা মিয়াসহ অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে সুন্দরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার জ্যোতিসময় সরকারকে তার মুঠোফোনে কল করা হলে বেড়িয়ে এলো থলের বিড়াল। তিনি জামালেন লোন আবেদন ফরম ১০ টাকা সঙ্গে ভ্যাট ২ টাকা সর্বমোট ১২ টাকা। তাহলে কেন ২০০-৩০০ টাকা নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা পিয়ন আছে তারা সাধারণত মাস্টার রোলে নিয়োগপ্রাপ্ত৷ তারা চা-পান খেতে এ কাজটি করতে পারে বলে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান তিনি। অন্য দিকে সিইআইবি চার্জ বাবদ ৬০০/- টাকার বদলে ৪৬০ টাকা বলে জানান জ্যোতিসময় সরকার।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাশেদুল ইসলাম রাশেদ/আরইসআর